তিস্তা নিয়ে মমতা ব্যানার্জির চিঠি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার : প্রধানমন্ত্রী মানবকথা মানবকথা প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৪ অনলাইন ডেস্কঃ তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও গঙ্গাচুক্তি নবায়ন প্রশ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মমতা ব্যানার্জি চিঠি লিখেছেন ওনার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে আমার তো কিছু বলার নেই। এ ব্যাপারে আমার কোনও নাক গলানোর দরকারও নেই। আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। একটা কথা বলতে পারি, ভারতের দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক আছে। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন বলেও এসময় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১-২২ জুন ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মমতা ব্যানার্জির চিঠির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তার বিষয়ে আমরা প্রজেক্ট নিচ্ছি। নদীটাতে ড্রেজিং করা, পাড় বাঁধানো, পানি সংরক্ষণ এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গঙ্গাচুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে ওই চুক্তি যদি নবায়ন নাও হয়, তাহলেও চুক্তি কিন্তু অব্যাহত থাকবে। আমরা বলেছি, একটি টেকনিক্যাল গ্রুপ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এটা বলেছেন। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির ক্ষোভ, ওনার সঙ্গে আলোচনা করে এটা করা হয়নি। উনি তো ছিলেন না দিল্লিতে। আমি নিজেই ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উনি ছিলেন না। উনি থাকলে নিশ্চয়ই ওনাকে নিয়েই আলোচনা করতাম। অন্তত আমি করতাম। আগে যে ফোন নম্বর ছিল (মমতার)…ওনার একটা মোবাইল নম্বর ছিল। নির্বাচনে যখন বিজয়ী হয়েছিলেন তখনও চেষ্টা করেছিলাম। তখন শুনেছিলাম এখন আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না (মমতা ব্যানার্জি)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কথা হলো কাউকে বাদ দিয়ে হবে না। টেকনিক্যাল গ্রুপ আসবে। আলোচনা করবে। কথা বলবে। তারপর সমঝোতা হবে। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমি একমত, নদীগুলোর ড্রেজিং করা উচিত। আমরাও সেটা করছি। ফলে বন্যার পানি এলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না এখন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা প্রকল্প করার জন্য ভারত সহযোগিতা করবে। আমাদের যৌথ কমিটি হবে। কীভাবে তিস্তা… এটা পানি ভাগাভাগির বিষয় না শুধু। গোটা তিস্তা নদীটাকে পুনরুজ্জীবিত করে উত্তরাঞ্চলে সেচের ব্যবস্থা করা, অধিক ফসল যাতে হয়। নেভিগেশনের ব্যবস্থা করা, সেটাই আমরা করবো। এটাই সিদ্ধান্ত। গঙ্গা পানিচুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তাদের টেকনিক্যাল গ্রুপ আসবে, দেখবে এবং এটা হবে। SHARES জাতীয় বিষয়: