কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ধরলা পানি বিপৎসীমার উপরে মানবকথা মানবকথা প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২৪ গাইবান্ধা প্রতিনিধি : টানা ভারি বর্ষণ ও উজান নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট সবগুলো নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। জেলায় ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বেড়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানিও বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী। এদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এছাড়া আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কাঁচাপাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসীদের। কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, “ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুচিন্তায় আছি।” বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, “আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকায়, কেউ মাচা বানিয়ে উঁচু স্থানে কোনো রকমে থাকছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।” ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য নয় উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ৬০০ মেট্রিকটন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। এগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: